করোনা মহামারী প্রায় প্রতিটি মানুষকেই বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন করেছে। সেটা অর্থনৈতিক সামাজিক বা মানসিক – প্রায় সব ক্ষেত্রেই। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি, প্রথম দুটি সমস্যা ধীরে ধীরে কাটিয়ে ফেললেও তৃতীয় সমস্যাটি অর্থাৎ মানসিক সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। মানসিক সমস্যা এক কঠিন ব্যধি – যা করোনা মহামারীর সময় আরও প্রকট হয়েছে। ছোট থেকে বয়স্ক, যুবক-যুবতী থেকে প্রৌঢ় – সবাইই প্রায় মানসিক অবসাদে ভুগছে। তাই করোনা মহামারীর সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আবার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
করোনা মহামারী প্রায় প্রত্যেকের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এনেছে। যার ফলে প্রত্যেকেই কম-বেশি চাপ, উদ্বেগ এবং একাকীত্ব অনুভব করছে। এর ফলে মানসিক ব্যাধিগুলি খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্য যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। সচেতনভাবে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। যার দ্বারা আমরা মানসিকভাবে শক্ত হয়ে উঠতে পারব। এই নিয়মগুলি আমরা নিজেরাই নিজেদের মতো করে তৈরি করে নিতে পারি –
আরও পড়ুন : (১) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কীভাবে? (২) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়। (৩) নাক ডাকার কারণ ও সমাধান। (৪) নিয়মিত সাইকেল চালানোর উপকারিতা। (৫) সজিনা পাতা খাওয়ার নানাবিধ উপকারিতা।
- আমাদের প্রত্যেককেই নিজের শরীর এবং মনের যত্ন নিতে হবে। মানসিকভাবে সতেজ থাকতে হবে। মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
- আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে শারীরিক স্বাস্থ্য বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। তাই শারীরিক ভাবে যাতে ভালো থাকা যায়, সেই দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। আর শারীরিক স্বাস্থ্য বিধির কথা বললে প্রথমেই যেটা আসে, সেটা হল পর্যাপ্ত ঘুম। প্রত্যেককেই নির্দিষ্ট সময় মত ঘুমাতে হবে। বাড়িতে থাকলেও সাধারণ সময়সূচী মেনে চলতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সূচি ও পর্যাপ্ত ঘুম মানুষকে অনেকটা মানসিক চাপমুক্ত করে তোলে।
- শরীরচর্চা ও মানসিক স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক। নিয়মিত শরীরচর্চা শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে। মানসিক উদ্বেগ দূর করে। এছাড়াও নাচ-গান প্রভৃতি ক্রিয়া-কলাপের মাধ্যমেও মনকে চাপমুক্ত রাখা যেতে পারে।
- মহামারীর সময় বাড়িতে থাকতে থাকতে অনেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছে। বাড়ির ছোট থেকে বড় কেউই ব্যতিক্রম নয়। এক্ষেত্রে আমাদের উচিত খোলা জায়গায় বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানো। সেটা বাড়ির উঠান কি ছাদ দুটোই হতে পারে।
- আমরা প্রথমেই উল্লেখ করেছি, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে শারীরিক স্বাস্থ্য বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য চাই সুষম খাদ্য। এই মহামারীর সময় অতিরিক্ত জাঙ্কফুড অর্থাৎ মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও ক্যাফিন, তামাক, অ্যালকোহল ও মাদক সেবন বন্ধ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, এইসব উত্তেজক পদার্থ আমাদের মানসিক উদ্বেগ কে বাড়িয়ে তোলে।
- আমরা সকলেই দেখেছি, এই মহামারীকালীন সময়ে প্রায় প্রতিটি প্রজন্মই মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি প্রকৃতির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এগুলির যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে আমরা ক্রমশ মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াগুলিতে করোনা সংক্রান্ত অনেক ভুল তথ্য ও খবর পরিবেশিত হচ্ছে। যার ফলে অনেকের মানসিক চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের প্রত্যেককেই এই সময়ে এইসব ‘ডিভাইস’ থেকে কিছুক্ষণ হলেও দূরে থাকতে হবে। নিজেকে, নিজের মনকে সময় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, কিছুক্ষণের শান্ত সময় মনকে মানসিক চাপমুক্ত করে। উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। এই কাজটি গান শোনা বা বই পড়ার মাধ্যমেও করা যেতে পারে।
- আপনার নিয়মিত রুটিন বজায় রাখুন। অর্থাৎ মহামারীর পূর্বের রুটিন বজায় রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত সময়সূচী বজায় রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম, খাবার, স্নান, কাজ প্রভৃতির জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ সময় রাখুন।
তাছাড়া, সর্বদা ইতিবাচক চিন্তার ওপর নজর রাখুন। কারণ নেতিবাচক চিন্তাগুলি মূলত শারীরিক ও মানসিক অবসাদের কারণ। জীবনের ইতিবাচক চিন্তা বা বিষয়গুলো ভেবে নিয়ে তার ওপর মনোনিবেশ করুন। জীবনের পরিবর্তনগুলি ইতিবাচক দৃষ্টিতে গ্রহণ করা উচিত। এতে অনেকটা মানুষের শান্তি আসে।
করোনা মহামারীর সময় মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখবেন কীভাবে তা নিয়েও ওয়ার্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বেশ কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। সেগুলিও পড়ে দেখতে পারেন।
I wanted to thank you for this good read!! I certainly enjoyed every little bit of it. I have got you book marked to check out new stuff you post…
I was pretty pleased to discover this great site. I want to to thank you for ones time due to this fantastic read!! I definitely appreciated every part of it and I have you book marked to look at new stuff on your web site.