অকারণ ভয়, ভীতি বা ফোবিয়া নেই এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। প্রায় প্রত্যেকেই কিছু না কিছুর ভয় পান। কারণ ভয় বা ফোবিয়া হল মানুষের আদিম অনুভূতিগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে অযৌক্তিক বা অমূলক ভয় শুধু আমাদের দুর্বল করে তাই নয়, জন্ম দেয় উদ্বেগের। ফোবিয়ার কারণে অকারণ দুশ্চিন্তা, আতঙ্কিত হওয়া, বিরক্তি, আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া প্রভৃতি হয়ে থাকে।
ভিত্তিহীন কারণে দুশ্চিন্তার নামই ফোবিয়া। ফোবিয়া বা ভীতিজনিত কারণে অনেকে এমন সব কাজ করেন, যাতে নিজের ও অন্যের নানান সমস্যার ও ক্ষতির সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো শারীরিক ভাবে আহত হওয়া বা মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই কোনো প্রকার ফোবিয়া যদি আপনার বা অন্যদের কাছে অস্বস্তি বা বিরক্তিকর হয়ে ওঠে, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। ওষুধ বা থেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন ফোবিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বিভিন্ন ফোবিয়া বা ভীতির তালিকা :
গ্রিক শব্দ ফোবোস φόβος (phóbos) থেকে ফোবিয়া (Phobia) শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ মৃত্যভয়। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের ফোবিয়া থাকে। দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বিভিন্ন ফোবিয়ায় বেশি ভোগেন। এর মধ্যে বেশ কিছু মানসিক সমস্যা বা ডিসঅর্ডারের লক্ষণ। তেমনি কিছু ভীতি বা ফোবিয়ার উল্লেখ করা হল –
- অ্যাক্লুফোবিয়া (Achluophobia) বা অন্ধকারভীতি – অন্ধকার দেখে ভয় পাওয়া, অন্ধকারে থাকতে ভয় পাওয়া।
- অ্যাক্রোফোবিয়া (Acrophobia) বা উচ্চতাজনিত ভীতি) – উঁচু জায়গায় থাকার বা ওঠার ভয়; ছাদ, পাহাড়, বিমান, এমনকি সিঁড়িতে ওঠার ভয় পাওয়া।
- এরোফোবিয়া (Aerophobia) বা উড্ডয়নভীতি – আকাশে ওড়ার ভয়। বিমান, হেলিকপ্টার বা অন্য যেকোনো ভাবে আকাশে উড়তে না চাওয়া বা সেই সম্পর্কে উদ্বেগপূর্ণ তীব্র অনীহা (ফোবিয়া)।
- অ্যালগোফোবিয়া (Algophobia) বা যন্ত্রনাভীতি – ব্যথা বা যন্ত্রনা পাওয়ার ভয়।
- অ্যাগোরাফোবিয়া (Agoraphobia) – ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার ভয় পাওয়া। বাড়ির বাইরে বা জনবহুল এলাকায় থাকার ভয়।
- আইচমোফোবিয়া (Aichmophobia) – ধারালো বা ছুঁচালো জিনিস (যেমন – ছুরি, কাঁচি, সুঁচ, পেরেক ইত্যাদি) থেকে ভয় পাওয়া।
- অ্যামাক্সোফোবিয়া (Amaxophobia) – বাস, বাইক, কার বা যে কোনো যানবাহনে চাপতে ভয় পাওয়া বা সেই সব যানবাহন চালাতে ভয় পাওয়া।
- এন্ড্রোফোবিয়া (Androphobia) বা পুরুষভীতি – পুরুষ মানুষ থেকে ফোবিয়া তথা ভয় পাওয়া।
- অ্যাঞ্জিনোফোবিয়া (Anginophobia) – দমবন্ধ হয়ে আসার ভয় বা দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হওয়ার ভয় পাওয়া।
- অ্যান্থোফোবিয়া (Anthophobia) বা পুষ্পভীতি – যে কোনো ফুল বা নির্দিষ্ট কিছু ফুল (পুষ্প) থেকে ভয় পাওয়া।
- অ্যান্থ্রোফোবিয়া (Anthrophobia) বা অ্যান্থ্রোপোফোবিয়া (Anthropophobia) – সমাজ থেকে তথা সমাজের মানুষজনের থেকে ভয় পাওয়া।
- এফেনফোস্ফোবিয়া (Aphenphosmphobia) বা স্পর্শ-ভীতি – অন্য কোনো মানুষ বা অন্য কোনো কিছু থেকে স্পর্শ বা ছোঁয়া লাগার ভয়। অনেক সময় যৌন হেনস্তার কারণে এই ফোবিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
- আরাচিবুট্রোফোবিয়া (Arachibutyrophobia) – পিনাট বাটার (Peanut butter) থেকে ভয় পাওয়া, মুখের মধ্যে Peanut butter আটকে যাওয়ার ভয় পাওয়া।
- আরাকনোফোবিয়া (Arachnophobia) বা মাকড়সা-ভীতি – মাকড়সা থেকে ভয় পাওয়া।
- অ্যারিথমোফোবিয়া (Arithmophobia) সংখ্যা-ভীতি – সংখ্যা নিয়ে কাজ করার, মূলত পাটিগণিত সংক্রান্ত বিষয়ে ভয় পাওয়া। এমন কি বিশেষ কোনো সংখ্যা নিয়েও ফোবিয়া থাকতে পারে।
- অ্যাস্ট্রাফোবিয়া (Astraphobia) – আকাশ ডাকা, বজ্র-বিদ্যুৎ থেকে ভয় পাওয়া।
- অ্যাটাক্সোফোবিয়া (Ataxophobia) – বিভিন্ন জিনিস (যেমন – বই, খাতা, বিছানা, বাসনপত্র, ঘরের বিভিন্ন জিনিস) অগোছালো থাকার বা গুছিয়ে না রাখার ভয়।
- অ্যাটেলোফোবিয়া (Atelophobia) – নিজেকে অসম্পূর্ণ বা অপ্রস্তুত ভেবে অজানা কোনো কিছু থেকে ভয় পাওয়া। এমনকি নিজের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন জিনিস বা ব্যক্তিকেও অসম্পূর্ণ বা অপ্রস্তুত ভেবে ভয় পাওয়া।
- অ্যাটিচিফোবিয়া (Atychiphobia) – কোনো কিছুতে ব্যর্থ হওয়ার ভয় পাওয়া, ব্যর্থতার ভয়।
- অটোম্যাটোনোফোবিয়া (Automatonophobia) – মানুষের মতো দেখতে এমন যে কোনো কিছু থেকে ভয় পাওয়া। ম্যানিকুইন, মোমের মূর্তি, স্ট্যাচু, রোবট প্রভৃতি দেখে ভয় পাওয়া।
- অটোফোবিয়া (Autophobia) বা মনোফোবিয়া (Monophobia) বা একাকীত্ব-ভীতি – একা থাকার ভয়, একা থাকলে নিজেকে নিরাপদ মনে না করা।
- ব্যাকটেরিওফোবিয়া (Bacteriophobia) – ব্যাকটেরিয়া থেকে ভয় পাওয়া বা ব্যাকটেরিয়ার ভীতি।
- ব্যারোফোবিয়া (Barophobia) – মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থেকে ভয় পাওয়া, বা মাধ্যাকর্ষণ জনিত কারণে উঁচু থেকে নীচে পরে যাওয়ার ভয় পাওয়া।
- ব্যাথমোফোবিয়া (Bathmophobia) – সিঁড়ি বা স্লোপ থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়।
- ব্যাট্রাকোফোবিয়া (Batrachophobia) – উভচর বিশেষত ব্যাঙ ও ব্যাঙাচির ফোবিয়া বা ভীতি।
- বেলোনেফোবিয়া (Belonephobia) – পিন, পেরেক, সুঁচ ও ইঞ্জেকশন থেকে ভয় পাওয়া।
- বিবলিওফোবিয়া (Bibliophobia) বা পুস্তক-ভীতি – বইয়ের ফোবিয়া, বিশেষত বই পড়া থেকে ভয় পাওয়া।
- বোটানোফোবিয়া (Botanophobia) বা উদ্ভিদ-ভীতি – গাছের ফোবিয়া, গাছপালা থেকে ভয় পাওয়া।
- ক্যাকোফোবিয়া (Cacophobia) – কদর্য বা কুৎসিত কোনো কিছু দেখে ভয় পাওয়া (Fear of ugliness)।
- ক্যাটাজেলোফোবিয়া (Catagelophobia) – উপহাসের পাত্র/ব্যক্তি হয়ে ওঠার অযৌক্তিক ভয়।
- ক্যাটপট্রোফোবিয়া (Catoptrophobia) বা আয়না-ভীতি – আয়না দেখে ভয় পাওয়া, আয়নার প্রতিচ্ছবি দেখে ভয় পাওয়া।
- চিওনোফোবিয়া (Chionophobia) বা বরফ-ভীতি – বরফ দেখে ভয় পাওয়া।
- ক্রোমোফোবিয়া (Chromophobia) বা রঙের ভয় – বিভিন্ন রং বা একটি নির্দিষ্ট রং দেখে ভয় পাওয়া।
- ক্রোনোমেন্ট্রোফোবিয়া (Chronomentrophobia) – ঘড়ি দেখে বা ঘড়ির সময় দেখে ভয় পাওয়া।
- ক্রোনোফোবিয়া (Chronophobia) বা সময়-ভীতি – সময় দেখে ভয় পাওয়া, সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এই ভেবে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- ক্লাস্ট্রোফোবিয়া (Claustrophobia) – বদ্ধ ঘরে/জায়গায় থাকার ফোবিয়া, বদ্ধ জায়গায়/ঘরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর ভয়।
- কুল্রোফোবিয়া (Coulrophobia) – ক্লাউন বা জোকার (বা ভাঁড়) দেখে ভয় পাওয়া।
- সাইবারফোবিয়া (Cyberphobia) – কম্পিউটার, নতুর অটোমেশন প্রযুক্তি, ইন্টারনেট প্রভৃতি থেকে ভয় পাওয়া।
- সাইনোফোবিয়া (Cynophobia) – কুকুর দেখে ভয় পাওয়া।
- ডেনড্রোফোবিয়া (Dendrophobia) – গাছের ফোবিয়া বা বড়ো বড়ো গাছ দেখে ভয় পাওয়া।
- ডেন্টোফোবিয়া (Dentophobia) – দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পাওয়া।
- ডোম্যাটোফোবিয়া (Domatophobia) – বাড়ির ফোবিয়া বা কোনো একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে থাকার ভয়, বাড়িতে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার ফোবিয়া।
- ডিস্টিচিফোবিয়া (Dystychiphobia) – অ্যাক্সিডেন্ট বা দুর্ঘটনার ভয়। নিজে কোনো অ্যাক্সিডেন্ট বা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে কিংবা অন্য কেউ আহত হবে, এই ভেবে ভয় পাওয়া।
- ইকোফোবিয়া (Ecophobia) – নিজের বাড়ির প্রতি এক অযৌক্তিক ভয়।
- ইলুরোফোবিয়া (Elurophobia) – বিড়াল থেকে ভয় বা বিড়াল-ভীতি।
- এন্টোমোফোবিয়া (Entomophobia) – কীট-পতঙ্গের ফোবিয়া, কীট-পতঙ্গ দেখে তীব্র ভয় পাওয়া।
- এফেবিফোবিয়া (Ephebiphobia) – টিন এজার্স ছেলেমেয়েদের বা সদ্য যুবক-যুবতীদের দেখে ভয় পাওয়া।
- ইকুইনোফোবিয়া (Equinophobia) – ঘোড়া দেখে ভয় পাওয়া।
- গ্যামোফোবিয়া (Gamophobia) – বিয়ে করতে বা কাউকে বিয়ের কমিটমেন্ট করতে ভয় পাওয়া।
- জেনুফোবিয়া (Genuphobia) – হাঁটুতে আঘাত লাগার ভয়।
- গ্লসোফোবিয়া (Glossophobia) – বেশ কিছু লোকজনের সামনে কথা বলতে বা মঞ্চে বক্তব্য রাখার ভয় বা ফোবিয়া।
- গাইনোফোবিয়া (Gynophobia) বা মহিলা-ভীতি – মহিলাদের থেকে ভয় পাওয়া।
- হাফেফোবিয়া (Haphephobia) – স্পর্শ হওয়ার ভয় বা ছোঁয়া লাগার ভয়। অনেক ক্ষেত্রে একটি বিশেষ জাতি, গোষ্ঠী, ধর্ম বা লিঙ্গের মানুষ অথবা অন্যান্য বস্তু থেকে ছোঁয়া লাগার ফোবিয়া থাকতে পারে।
- হেলিওফোবিয়া (Heliophobia) – সূর্য থেকে ভয় পাওয়া, বা সূর্যালোকের মতো উজ্জ্বল আলো থেকে ভয় পাওয়া।
- হিমোফোবিয়া (Hemophobia) বা রক্ত-ভীতি – রক্ত দেখে ভয় পাওয়া।
- হারপেটোফোবিয়া (Herpetophobia) বা সরীসৃপ-ভীতি – সরীসৃপ যেমন সাপ, গিরগিটি, টিকটিকি, কচ্ছপ প্রভৃতি দেখে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- হিপ্পোপোটোমোনস্ট্রোসেস্কুইপিডালিওফোবিয়া (Hippopotomonstrosesquipedaliophobia) – লম্বা বা বড়ো শব্দ দেখে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া। (এত বড়ো শব্দ দেখে অদ্ভুত লাগা স্বাভাবিক, তবে অহেতুক ভয় পাওয়া একটা ফোবিয়া!)
- হাইড্রোফোবিয়া (Hydrophobia) বা জলাতঙ্ক – জল দেখে ভয় পাওয়া।
- হাইপোকন্ড্রিয়া (Hypochondria) – অসুস্থ হয়ে যাওয়ার অহেতুক ভয় পাওয়া।
- ইট্রোফোবিয়া (Iatrophobia) – ডাক্তার দেখে বা ডাক্তার দেখাতে যাওয়া বা ডাক্তার সম্পর্কে ভয় পাওয়া।
- ইনসেক্টোফোবিয়া (Insectophobia) – কীট-পতঙ্গ দেখে ভয় পাওয়া।
- কোইনোনিফোবিয়া (Koinoniphobia) – ঘর নিয়ে ভয় পাওয়া বা ঘরে থাকতে ভয় পাওয়া।
- কাউম্পুনোফোবিয়া (Koumpounophobia) – জামার/পোশাকের বোতাম নিয়ে ভয় পাওয়া।
- লিউকোফোবিয়া (Leukophobia) – সাদা রং দেখে ভয় পাওয়া।
- লিলাপসোফোবিয়া (Lilapsophobia) – ঘূর্ণিঝড় যেমন টর্নেডো এবং হারিকেন নিয়ে ফোবিয়া বা ভয় পাওয়া।
- লোকিওফোবিয়া (Lockiophobia) – সন্তানধারণ (গর্ভাবস্থা) ও সন্তানের জন্মদান (সন্তান প্রসব) নিয়ে ভয় পাওয়া।
আরও পড়ুন :
(১) গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস? জেনে নিন কারণ, ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রণের উপায়।
(২) বিয়ের আগে কী কী মেডিকেল টেস্ট করা উচিত?
- ম্যাজিরোকোফোবিয়া (Mageirocophobia) – রান্না করতে তীব্র ভয় পাওয়া।
- মেগালোফোবিয়া (Megalophobia) – বিশালাকৃতি যে কোনো কিছু থেকে ভয় পাওয়া।
- মেলানোফোবিয়া (Melanophobia) – কালো রঙের ফোবিয়া, কালো রং নিয়ে ভয় পাওয়া।
- মাইক্রোফোবিয়া (Microphobia) – মেগালোফোবিয়ার বিপরীত। ছোট ছোট ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু সম্পর্কে ভয় পাওয়া।
- মাইসোফোবিয়া (Mysophobia) – ময়লা এবং জীবাণু নিয়ে ভয় পাওয়া, বিশেষত সংক্রমিত হওয়ার ভয় পাওয়া।
- নেক্রোফোবিয়া (Necrophobia) – মৃত যে কোনো জীব দেখে বা মৃত্যু-সম্পর্কিত যে কোনো কিছু দেখে ভয় পাওয়া।
- নকটিফোবিয়া (Noctiphobia) বা নিকটোফোবিয়া (Nyctophobia) – রাত্রি বা অন্ধকার সম্পর্কিত ভয়।
- নোসোকোমেফোবিয়া (Nosocomephobia) বা হাসপাতাল-ভীতি – হাসপাতালে যেতে (চিকিৎসার জন্য বা অন্য কারণে) ভীষণ ভয় পাওয়া।
- ওবেসোফোবিয়া (Obesophobia) বা পোক্রেসকোফোবিয়া (Pocrescophobia) – দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার বা মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় পাওয়া।
আরও পড়ুন : (১) মোটা হওয়া বা ওজন বৃদ্ধির কারণগুলো কী কী? (২) ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়।
- অক্টোফোবিয়া (Octophobia) – ‘আট’ (Eight) সংখ্যা নিয়ে ভয়।
- অম্ব্রোফোবিয়া (Ombrophobia) – বৃষ্টিকে ভয় পাওয়া বা বৃষ্টি সম্পর্কিত ফোবিয়া।
- ওফিডিওফোবিয়া (Ophidiophobia) বা সর্প-ভীতি – সাপকে খুব অত্যধিক পাওয়া (সাধারণ মানুষের থেকে অনেক বেশি), সাপের ফোবিয়া।
- অর্নিথোফোবিয়া (Ornithophobia) পক্ষী-ভীতি – পাখির ফোবিয়া, যে কোনো পাখি বা নির্দিষ্ট একটি পাখিকে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- ফোবোফোবিয়া (Phobophobia) – ভয়ের ফোবিয়া বা ‘ভয়’-কেই ভয় পাওয়া। যে কোনো ক্ষেত্রে “আমি যদি ভয় পাই” এই ভেবে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- পোডোফোবিয়া (Podophobia) – নিজের বা অন্যের পায়ের পাতা দেখে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- পরফাইরোফোবিয়া (Porphyrophobia) – বেগুনি রঙের ফোবিয়া, বেগুনি রং দেখে অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- টেরিডোফোবিয়া (Pteridophobia) – ফার্ন জাতীয় গাছ থেকে ভয় পাওয়া।
- টেরোমেরহানোফোবিয়া (Pteromerhanophobia) – উড়তে ভয় পাওয়া। বিমান, বেলুন বা অন্য কোনো যানে আকাশে উড়তে ভয় পাওয়া।
- পাইরোফোবিয়া (Pyrophobia) বা আগুন-ভীতি – আগুনের ফোবিয়া বা আগুনকে প্রচন্ড ভয় পাওয়া।
- সামহাইনোফোবিয়া (Samhainophobia) – হ্যালোইন সম্পর্কে অস্বাভাবিক এবং অযৌক্তিক ভয়।
- স্কুলিওনোফোবিয়া (Scolionophobia) – স্কুল বা বিদ্যালয় সম্পর্কিত ফোবিয়া বা ভয়।
- স্কোপটোফোবিয়া (Scoptophobia) বা স্কোপোফোবিয়া (Scopophobia) – কেউ তাকিয়ে আছে (বা তাকিয়ে থাকবে) মনে করে অযৌক্তিক ভয় বা কেউ তাকিয়ে থাকলেও অযৌক্তিক ভয় পাওয়া।
- সেলেনোফোবিয়া (Selenophobia) – চাঁদ সম্পর্কিত ভয়।
- সোসিওফোবিয়া (Sociophobia) – সমাজ থেকে, সমাজের মানুষজনের থেকে, সামাজিক লজ্জা, সামাজিক মূল্যায়ন থেকে অযৌক্তিক ভয়।
- সোমনিফোবিয়া (Somniphobia) – ঘুমের ফোবিয়া। ঘুমিয়ে যাওয়ার ভয়, একা একা ঘুমানোর ভয়।
আরও পড়ুন :
(১) নাক ডাকার সমস্যা? জেনে নিন, কারণ ও সমাধান
(২) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন?
- ট্যাকোফোবিয়া (Tachophobia) – ‘দ্রুত গতি’ থেকে ভয়।
- টেকনোফোবিয়া (Technophobia) – প্রযুক্তি ও তার ব্যবহার সম্পর্কিত ফোবিয়া।
- টনিট্রোফোবিয়া (Tonitrophobia) – বজ্র-বিদ্যুৎ থেকে অহেতুক ভয়।
- ট্রাইপ্যানোফোবিয়া (Trypanophobia) – সুঁচ ও ইঞ্জেকশন থেকে ফোবিয়া বা ভয়।
- ট্রাইপোফোবিয়া (Trypophobia) – ছোট ছোট গর্ত থেকে ভয়।
- ভেনুস্ট্রাফোবিয়া (Venustraphobia) – সুন্দরী মহিলা থেকে ভয় পাওয়া, সুন্দরী মহিলা সম্পর্কিত ফোবিয়া।
- ভার্মিনোফোবিয়া (Verminophobia) – জীবাণু থেকে ভয় পাওয়া।
- উইক্যাফোবিয়া (Wiccaphobia) – ভূত, প্রেত, ডাইনি এবং জাদুবিদ্যার ভয়।
- জেনোফোবিয়া (Xenophobia) – অপরিচিত ও বিদেশীদের দেখে ভয় পাওয়া।
- জুফোবিয়া (Zoophobia) – জন্তু-জানোয়ার থেকে ভয় পাওয়া।
Good information